ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও Logo হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ইসলাম ও মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি, তরুণী আটক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন করেছে ট্যুরিজম বোর্ড Logo হবিগঞ্জে র‌্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার, দুই ভিকটিম উদ্ধার Logo ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Logo মাধবপুরে সড়ক দু’র্ঘটনায় তরুণ কসমেটিক  ব্যবসায়ীর ম’র্মান্তিক মৃ’ত্যু Logo মাধবপুরে ৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়াপুত্র রেজা কিবরিয়া। Logo গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ Logo বাহুবলে চোরাই সন্দেহে মহিষ ও পিকআপসহ দুইজন আটক

কলা ঘুষ নেওয়ায় কর্মকর্তাকে বদলি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ৮১ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাজ করে দেওয়ার জন্য পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যশোরে অনুষ্ঠিত গণশুনানি চলাকালে দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এ নির্দেশনা দেন। অবশ্য, অভিযোগকারী রুস্তম আলীর দাবি, তার কাছ থেকে পাকা কলা ছাড়াও দশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন ওই কর্মকর্তা। এরপর আরও ছয় লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। না দেওয়ায় জেলা পরিষদের জমির ডিসিআর অন্যকে দিয়ে দেন আলমগীর হোসেন।

এছাড়া যশোর সদরের ভায়না গ্রামের আরজিনা খাতুন অভিযোগ করেন, তার মেয়ে খাদিজা খাতুনের চাকরি দেবেন বলে যশোর সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারী সালমা খাতুন তিন লাখ টাকা নেন। এরপর তার মেয়ে খাদিজা খাতুনের নামে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেন সালমা। কিন্তু তিনি এখন টাকা ফেরত চাইলেও দিচ্ছেন না, উল্টো হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। দুদক চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন ভুক্তভোগীকে। একইসাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন সিভিল সার্জনকেও।

গণশুনানিতে ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, স্বাস্থ্য দপ্তর, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, সওজ, বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএডিসি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৭টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগসহ ৭৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

এ সময় অভিযোগকারীরা বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওষুধ চুরি, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, বিআরটিএ কার্যালয়ে ঘুষ ছাড়া কাজ না হওয়া—এসব দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলছে।

গণশুনানিতে একাধিক ভুক্তভোগী তাদের নির্দিষ্ট অভিযোগ লিখিতভাবে উপস্থাপন করেন এবং সরাসরি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে বক্তব্য রাখেন। এ সময় অনেকেই বলেন, স্থানীয়ভাবে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি, তাই দুদকের এই গণশুনানি তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করছেন।

অভিযুক্ত দপ্তরগুলোর প্রতিনিধিরা পাল্টা বক্তব্যে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। কেউ কেউ অভিযোগ খণ্ডনে বিভিন্ন নথি ও কাগজপত্র উপস্থাপন করেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গণশুনানিতে উত্থাপিত সব অভিযোগ লিখিতভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অভিযোগের সত্যতা মিলবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুদকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কলা ঘুষ নেওয়ায় কর্মকর্তাকে বদলি

আপডেট সময় : ১০:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

কাজ করে দেওয়ার জন্য পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যশোরে অনুষ্ঠিত গণশুনানি চলাকালে দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এ নির্দেশনা দেন। অবশ্য, অভিযোগকারী রুস্তম আলীর দাবি, তার কাছ থেকে পাকা কলা ছাড়াও দশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন ওই কর্মকর্তা। এরপর আরও ছয় লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। না দেওয়ায় জেলা পরিষদের জমির ডিসিআর অন্যকে দিয়ে দেন আলমগীর হোসেন।

এছাড়া যশোর সদরের ভায়না গ্রামের আরজিনা খাতুন অভিযোগ করেন, তার মেয়ে খাদিজা খাতুনের চাকরি দেবেন বলে যশোর সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারী সালমা খাতুন তিন লাখ টাকা নেন। এরপর তার মেয়ে খাদিজা খাতুনের নামে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেন সালমা। কিন্তু তিনি এখন টাকা ফেরত চাইলেও দিচ্ছেন না, উল্টো হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। দুদক চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন ভুক্তভোগীকে। একইসাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন সিভিল সার্জনকেও।

গণশুনানিতে ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, স্বাস্থ্য দপ্তর, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, সওজ, বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএডিসি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৭টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগসহ ৭৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

এ সময় অভিযোগকারীরা বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওষুধ চুরি, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, বিআরটিএ কার্যালয়ে ঘুষ ছাড়া কাজ না হওয়া—এসব দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলছে।

গণশুনানিতে একাধিক ভুক্তভোগী তাদের নির্দিষ্ট অভিযোগ লিখিতভাবে উপস্থাপন করেন এবং সরাসরি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে বক্তব্য রাখেন। এ সময় অনেকেই বলেন, স্থানীয়ভাবে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি, তাই দুদকের এই গণশুনানি তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করছেন।

অভিযুক্ত দপ্তরগুলোর প্রতিনিধিরা পাল্টা বক্তব্যে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। কেউ কেউ অভিযোগ খণ্ডনে বিভিন্ন নথি ও কাগজপত্র উপস্থাপন করেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গণশুনানিতে উত্থাপিত সব অভিযোগ লিখিতভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অভিযোগের সত্যতা মিলবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুদকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।