ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও Logo হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ইসলাম ও মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি, তরুণী আটক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন করেছে ট্যুরিজম বোর্ড Logo হবিগঞ্জে র‌্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার, দুই ভিকটিম উদ্ধার Logo ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Logo মাধবপুরে সড়ক দু’র্ঘটনায় তরুণ কসমেটিক  ব্যবসায়ীর ম’র্মান্তিক মৃ’ত্যু Logo মাধবপুরে ৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়াপুত্র রেজা কিবরিয়া। Logo গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ Logo বাহুবলে চোরাই সন্দেহে মহিষ ও পিকআপসহ দুইজন আটক

নবীগঞ্জে পরকীয়ার পরিণতি: তিন সন্তানের জননী নিখোঁজ, সঙ্গে দোকান কর্মচারী উধাও! নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট!

মোফাজ্জল ইসলাম সজীব নবীগঞ্জ থেকে …
  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৯০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: দোকান কর্মচারী মেহেদী হাসান অপুর সাথে মালিকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী রোকসানা বেগম।

বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর গ্রামে ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তিন সন্তানের জননী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন, একইসঙ্গে নিখোঁজ তার স্বামীর দোকানের কর্মচারীও। ঘর থেকে উধাও নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।

 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঁশডর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মো. দুলাল মিয়া প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার মেয়ে রোকসানা বেগম (২৫)-এর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সংসার ভালোই চলছিলো।

 

কিছুদিন আগে দোকানের কাজের সুবিধার জন্য দুলাল মিয়া কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন গ্রামেরই মেহেদী হাসান অপু (২২),

সে একই এলাকার আজিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে। 

পরবর্তীতে অপু ধীরে ধীরে অপু ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে এবং রোকসানার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

দুলাল মিয়া জানান, “আমার স্ত্রী কয়েকবার জানায় অপু তাকে কু-প্রস্তাব দেয় এবং অশোভন আচরণ করে। আমি তাকে সাবধান করি। কিন্তু ১২ অক্টোবর রাতে আমি ও বড় ছেলে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে রোকসানা বেগম বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, দামী মোবাইল ও কাপড়চোপড় নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। একই রাতে কর্মচারী অপুও উধাও হয়।”

 

পরের দিন সকাল পর্যন্ত স্ত্রী ও কর্মচারী কারও সন্ধান না পেয়ে তিনি আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হন। পরে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।”

 

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন,

 

“অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নবীগঞ্জে পরকীয়ার পরিণতি: তিন সন্তানের জননী নিখোঁজ, সঙ্গে দোকান কর্মচারী উধাও! নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট!

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর গ্রামে ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তিন সন্তানের জননী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন, একইসঙ্গে নিখোঁজ তার স্বামীর দোকানের কর্মচারীও। ঘর থেকে উধাও নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।

 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঁশডর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মো. দুলাল মিয়া প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার মেয়ে রোকসানা বেগম (২৫)-এর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সংসার ভালোই চলছিলো।

 

কিছুদিন আগে দোকানের কাজের সুবিধার জন্য দুলাল মিয়া কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন গ্রামেরই মেহেদী হাসান অপু (২২),

সে একই এলাকার আজিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে। 

পরবর্তীতে অপু ধীরে ধীরে অপু ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে এবং রোকসানার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

দুলাল মিয়া জানান, “আমার স্ত্রী কয়েকবার জানায় অপু তাকে কু-প্রস্তাব দেয় এবং অশোভন আচরণ করে। আমি তাকে সাবধান করি। কিন্তু ১২ অক্টোবর রাতে আমি ও বড় ছেলে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে রোকসানা বেগম বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, দামী মোবাইল ও কাপড়চোপড় নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। একই রাতে কর্মচারী অপুও উধাও হয়।”

 

পরের দিন সকাল পর্যন্ত স্ত্রী ও কর্মচারী কারও সন্ধান না পেয়ে তিনি আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হন। পরে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।”

 

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন,

 

“অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।