ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও Logo হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ইসলাম ও মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি, তরুণী আটক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন করেছে ট্যুরিজম বোর্ড Logo হবিগঞ্জে র‌্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার, দুই ভিকটিম উদ্ধার Logo ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Logo মাধবপুরে সড়ক দু’র্ঘটনায় তরুণ কসমেটিক  ব্যবসায়ীর ম’র্মান্তিক মৃ’ত্যু Logo মাধবপুরে ৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়াপুত্র রেজা কিবরিয়া। Logo গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ Logo বাহুবলে চোরাই সন্দেহে মহিষ ও পিকআপসহ দুইজন আটক

হবিগঞ্জের সাবেক ডিসিসহ ৪ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

এম এ রাজা
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৩২২ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ঘটনায় সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি)\সহ চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে এক মাস করে সিভিল কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

 

রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ তারেক আজিজ এই রায় ঘোষণা করেন।

 

 দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: তৎকালীন জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান,

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ কে এম আমিনুল ইসলাম,বানিয়াচং উপজেলার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও নুরে আলম সিদ্দিকী,* সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সফিউল আলম।

 

রায়ে বলা হয়েছে,মামলা নম্বর ১-৪/৬-১৩–এর ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদী আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও হাজির হননি। ফলে আদালত একতরফা রায় দিয়েছেন।

এছাড়া, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারীর জমি ফেরত না দিলে, আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চৌধুরী বাজার (খোয়াই মুখ) এলাকায় আব্দুল হামিদের মালিকানাধীন জমিতে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালায়। অথচ ওই জমিতে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকায় অভিযানের বৈধতা ছিল না। অভিযানে ঘর ভেঙে জবরদখলের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ১০ আগস্ট আব্দুল হামিদ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের রায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ: আদালত রায়ে বলেন,

মিসিল্যানিয়াস মামলাটি বিপরীত পক্ষ ১-৪/৬-১৩ এর বিরুদ্ধে দুই পক্ষের শুনানির ভিত্তিতে এবং অবশিষ্টদের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে (কোনো খরচ ছাড়াই) মঞ্জুর করা হলো। সংশ্লিষ্ট জমিগুলো অবিলম্বে আবেদনকারী আব্দুল হামিদের দখলে ফিরিয়ে দিতে হবে। ব্যর্থ হলে তিনি সিভিল প্রসিডিউর কোড, ১৯০৮-এর আদেশ ২১, বিধি ৩৫ অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝে নিতে পারবেন।

রায়ে আরও বলা হয়, বিপরীত পক্ষ ১ থেকে ৪–এর প্রত্যেককে ১ (এক) মাসের সিভিল কারাবাসে দণ্ডিত করা হলো। তবে অপরাধটি অর্ধ-অপরাধমূলক (quasi-criminal) প্রকৃতির হওয়ায়, জেল কোডের ৮৮৮ ও ৮৯০ ধারা অনুযায়ী সরকারি খরচে খাবার সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দণ্ডাদেশ জারি করা হয়েছে।

 

জমির দখল বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২১ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাদীর প্রতিক্রিয়া: এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল হামিদ বলেন,“দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমার জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হবিগঞ্জের সাবেক ডিসিসহ ৪ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ১০:০৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ঘটনায় সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি)\সহ চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে এক মাস করে সিভিল কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

 

রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ তারেক আজিজ এই রায় ঘোষণা করেন।

 

 দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: তৎকালীন জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান,

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ কে এম আমিনুল ইসলাম,বানিয়াচং উপজেলার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও নুরে আলম সিদ্দিকী,* সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সফিউল আলম।

 

রায়ে বলা হয়েছে,মামলা নম্বর ১-৪/৬-১৩–এর ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদী আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও হাজির হননি। ফলে আদালত একতরফা রায় দিয়েছেন।

এছাড়া, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারীর জমি ফেরত না দিলে, আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চৌধুরী বাজার (খোয়াই মুখ) এলাকায় আব্দুল হামিদের মালিকানাধীন জমিতে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালায়। অথচ ওই জমিতে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকায় অভিযানের বৈধতা ছিল না। অভিযানে ঘর ভেঙে জবরদখলের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ১০ আগস্ট আব্দুল হামিদ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের রায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ: আদালত রায়ে বলেন,

মিসিল্যানিয়াস মামলাটি বিপরীত পক্ষ ১-৪/৬-১৩ এর বিরুদ্ধে দুই পক্ষের শুনানির ভিত্তিতে এবং অবশিষ্টদের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে (কোনো খরচ ছাড়াই) মঞ্জুর করা হলো। সংশ্লিষ্ট জমিগুলো অবিলম্বে আবেদনকারী আব্দুল হামিদের দখলে ফিরিয়ে দিতে হবে। ব্যর্থ হলে তিনি সিভিল প্রসিডিউর কোড, ১৯০৮-এর আদেশ ২১, বিধি ৩৫ অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝে নিতে পারবেন।

রায়ে আরও বলা হয়, বিপরীত পক্ষ ১ থেকে ৪–এর প্রত্যেককে ১ (এক) মাসের সিভিল কারাবাসে দণ্ডিত করা হলো। তবে অপরাধটি অর্ধ-অপরাধমূলক (quasi-criminal) প্রকৃতির হওয়ায়, জেল কোডের ৮৮৮ ও ৮৯০ ধারা অনুযায়ী সরকারি খরচে খাবার সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দণ্ডাদেশ জারি করা হয়েছে।

 

জমির দখল বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২১ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাদীর প্রতিক্রিয়া: এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল হামিদ বলেন,“দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমার জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।