সংবাদ শিরোনাম ::
মাধবপুরে ‘পতিত শক্তি’র বিরুদ্ধে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৮:০৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫ ৩১৮ বার পড়া হয়েছে
চা বাগানে স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করে যাওয়া বর্তমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী একটি পক্ষের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন চা শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা পতিত শক্তি উল্লেখ করে ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চা বাগান ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ও শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ জানান।
বুধবার ২৩ জুলাই দুপুরে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং তাতে ইন্ধন ও সহায়তা দেওয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শতাধিক চা শ্রমিক। কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন– বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি খোকন পান তাঁতী, মহিলা সর্দার বিরেন্দ্র ভুনার্জি ও মহিলা নেত্রী প্রেম পান তাঁতী।
শ্রনিকরা জানান, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া, পারকুল, সাতছড়ি ও মাধবপুরের জগদিশপুরসহ ১৩টি চা বাগানে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সরিয়ে সেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এইচএসএম জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে এসেছে নতুন একটি ব্যবস্থাপনা পর্ষদ। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাগানে শৃঙ্খলা ও গতি ফিরেছে। শ্রমিকরা এখন তাদের সমস্যার কথা সহজে উপস্থাপন করতে পারছেন। আসছে বিশেষ প্রণোদনাও। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অতীতের পতিত শক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
চা বাগান সংশ্লিষ্টদের দাবি, এই অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে অতীতে দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত একটি মহল বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ কাজে তাদের সহায়তা করছেন শাহ হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তি।
পঞ্চায়েত সভাপতি খোকন পান তাঁতী বলেন, শ্রমিকরা চা বাগানকে ভালোবেসে পরিশ্রম করেন। এখানে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে আবার। কর্তৃপক্ষ মাঠ পর্যায় থেকে শ্রমিকদের সংকট সমস্যার খোঁজ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছে। যখনই কেউ শ্রমিকদের জন্য কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় সমালোচনা, ষড়যন্ত্র। শাহ হুমায়ুনের মতো ব্যক্তিরা শ্রমিকদের হুমকি দিচ্ছেন– যাতে বর্তমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নেওয়া যায়। নামসর্বস্ব কিছু সাংবাদিক এতে সম্পৃক্ত। তারা মূলধারার সাংবাদিকতাকেও বিতর্কিত করছেন।
শ্রমিকরা জানান, শাহ হুমায়ুনকে দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন। প্রয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর আগেও নানা অপকর্মের দায়ে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে শাহ হুমায়ুনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।















