ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও Logo হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ইসলাম ও মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি, তরুণী আটক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন করেছে ট্যুরিজম বোর্ড Logo হবিগঞ্জে র‌্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার, দুই ভিকটিম উদ্ধার Logo ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Logo মাধবপুরে সড়ক দু’র্ঘটনায় তরুণ কসমেটিক  ব্যবসায়ীর ম’র্মান্তিক মৃ’ত্যু Logo মাধবপুরে ৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়াপুত্র রেজা কিবরিয়া। Logo গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ Logo বাহুবলে চোরাই সন্দেহে মহিষ ও পিকআপসহ দুইজন আটক

হবিগঞ্জে বাংলা মদের বিষক্রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু!?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫ ৬৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি প্রতীকী

বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

  হবিগঞ্জ শহরে বাংলা মদের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহতরা হলেন—
চৌধুরী বাজারের চায়ের দোকানের কর্মচারি অপু দাস (৩৭), ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকার সেলুন ব্যবসায়ী রতন শীল (৫৫), একই এলাকার চা স্টল ব্যবসায়ী নিকুঞ্জ দাস (৪৬) এবং উমেদনগর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া (৫৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশের সুইপার কলোনি এলাকা থেকে কয়েকজন ব্যক্তি মদ সংগ্রহ করেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এরপরই ওই চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় তাদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ জুলাই রাতে প্রথমে জাহাঙ্গীর মারা যান। পরদিন ১৭ জুলাই মারা যান বাকি তিনজন। তাদের মধ্যে কেউ হৃদরোগে, কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত বলে হাসপাতালের ভর্তি কাগজে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন শাহিন জানান,

“নিহতদের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারগুলো মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মনে করে দাফন ও সৎকার শেষ করেছে। কারও মৃত্যুর ঘটনায় মদ্যপানের প্রমাণ পেলে অবশ্যই পোস্টমর্টেম করানো হতো। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সুইপার কলোনি এলাকায় অবৈধভাবে বাংলা মদ তৈরি ও বিক্রি হয়ে আসছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চললেও কার্যকর কোনো অভিযান বা পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

এদিকে সচেতন মহল বলছেন, এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এখনই অবৈধ মদ উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হবিগঞ্জে বাংলা মদের বিষক্রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু!?

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

 

 

  হবিগঞ্জ শহরে বাংলা মদের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহতরা হলেন—
চৌধুরী বাজারের চায়ের দোকানের কর্মচারি অপু দাস (৩৭), ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকার সেলুন ব্যবসায়ী রতন শীল (৫৫), একই এলাকার চা স্টল ব্যবসায়ী নিকুঞ্জ দাস (৪৬) এবং উমেদনগর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া (৫৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশের সুইপার কলোনি এলাকা থেকে কয়েকজন ব্যক্তি মদ সংগ্রহ করেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এরপরই ওই চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় তাদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ জুলাই রাতে প্রথমে জাহাঙ্গীর মারা যান। পরদিন ১৭ জুলাই মারা যান বাকি তিনজন। তাদের মধ্যে কেউ হৃদরোগে, কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত বলে হাসপাতালের ভর্তি কাগজে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন শাহিন জানান,

“নিহতদের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারগুলো মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মনে করে দাফন ও সৎকার শেষ করেছে। কারও মৃত্যুর ঘটনায় মদ্যপানের প্রমাণ পেলে অবশ্যই পোস্টমর্টেম করানো হতো। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সুইপার কলোনি এলাকায় অবৈধভাবে বাংলা মদ তৈরি ও বিক্রি হয়ে আসছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চললেও কার্যকর কোনো অভিযান বা পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

এদিকে সচেতন মহল বলছেন, এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এখনই অবৈধ মদ উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।