বৈছাআ’র সদস্য সচিব মাহদী‘র উপর হামলার প্রধান আসামি সাকিব গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ১১:২৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ ২৪৬ বার পড়া হয়েছে
বৈছাআ’ হবিগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ০৪ জনের উপর হামলার প্রধান আসামী এনামুল হাসান সাকিবকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে।
এম এ রাজা, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা-বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রধান আসামি এনামুল হক সাকিব’কে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে।
রবিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের চৌধুরী বাজার কিবরিয়া ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সে উমেদ নগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিনের ছেলে।
পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাকিবকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন।
তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানা
মামলা নং ১২/১৪৬
তারিখ -১১-০৫-২০২৫ ইং
সিরিয়াল নং: ০১ চলমান আছে।
এর আগে সমন্বয়কারীদের উপর হামলার ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ এর বহিস্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সাকিবকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাত রেখে রবিবার ১১ মে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার সূত্রের জানা যায়, গত ৯মে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা-বিক্ষোভ মিছিলে শেষে যাওয়ার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর সাকিবের নেতৃত্বে উপরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এসময় মাহাদীসহ অন্যান্যদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এরপর তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত মাহদী হাসান “হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ”-এর জেলা শাখার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, অপর আহত তিনজন হলেন মোঃ রকি, অন্তর মিয়া ও সাইদুল।
উল্লেখ্য ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মামলার আসামী আরও দুইজনকে গত ১১মে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস গাড়ি যোগে পালানোর সময় বাসের টিকিটসহ মোঃ নুর আলম চৌধুরী ও রেজাউল হাসান রাজুকে জনতা আটক করে। পরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
একই মামলায় নুর মিয়া (নুরা), ও জনি রায় নামের আরও ২ জন কারাগারে আছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের উপর হামলার ঘটনা এই পর্যন্ত ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাকিবসহ এই মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।