ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও Logo হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ইসলাম ও মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি, তরুণী আটক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন করেছে ট্যুরিজম বোর্ড Logo হবিগঞ্জে র‌্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার, দুই ভিকটিম উদ্ধার Logo ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Logo মাধবপুরে সড়ক দু’র্ঘটনায় তরুণ কসমেটিক  ব্যবসায়ীর ম’র্মান্তিক মৃ’ত্যু Logo মাধবপুরে ৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়াপুত্র রেজা কিবরিয়া। Logo গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ Logo বাহুবলে চোরাই সন্দেহে মহিষ ও পিকআপসহ দুইজন আটক

চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ২৬৭ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সামাজিক যগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিভাগীয় মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সহকারী সচিব (ওএসডি) হিসেবে অবস্থান করছিলেন এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়। এছাড়াও, তিনি সামাজিক মাধ্যমে শহিদ আবু সাঈদ ও তৎকালীন ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বেশকিছু পোস্ট দেন, যা প্রশাসনের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রবিরোধী এবং আচরণগতভাবে অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়।

যার ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে লিখিত জবাব দেন, যা কর্তৃপক্ষের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। এরপর তাকে দ্বিতীয় দফায় কারণ দর্শানোর সুযোগ দেয়া হলেও তদন্ত প্রতিবেদন ও সকল বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে গুরুদণ্ড প্রয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে পরামর্শ দিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতিও তার চাকরিচ্যুতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

সামাজিক যগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিভাগীয় মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সহকারী সচিব (ওএসডি) হিসেবে অবস্থান করছিলেন এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়। এছাড়াও, তিনি সামাজিক মাধ্যমে শহিদ আবু সাঈদ ও তৎকালীন ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বেশকিছু পোস্ট দেন, যা প্রশাসনের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রবিরোধী এবং আচরণগতভাবে অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়।

যার ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে লিখিত জবাব দেন, যা কর্তৃপক্ষের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। এরপর তাকে দ্বিতীয় দফায় কারণ দর্শানোর সুযোগ দেয়া হলেও তদন্ত প্রতিবেদন ও সকল বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে গুরুদণ্ড প্রয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে পরামর্শ দিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতিও তার চাকরিচ্যুতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।