হবিগঞ্জে সমন্বয়কারীদের উপর হামলার ঘটনায় আরও এক আসামী গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ১২:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ৩২৭ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা-বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার জেরে জনি রায় নামের আরও এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
শনিবার (২১ মে) রাত ৯ টার দিকে শহরের শহরের উমেদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সে উমেদনগর এলাকার বাসিন্দা জ্যোতির্ময় রায়ের ছেলে।
পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদর থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন।
এর আগে সমন্বয়কারীদের উপর হামলার ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ এর বহিস্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সাকিবকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাত রেখে গত ১১ মে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার সূত্রের জানা যায়, গত ৯মে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা-বিক্ষোভ মিছিলে শেষে যাওয়ার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর সাকিবের নেতৃত্বে উপরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এসময় মাহাদীসহ অন্যান্যদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এরপর তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত মাহদী হাসান “হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ”-এর জেলা শাখার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, অপর আহত তিনজন হলেন মোঃ রকি, অন্তর মিয়া ও সাইদুল।
ঘটনার পর ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক আরিফ তালুকদারের নেতৃত্বে শহরের টাউনহলের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, যদিও জয় বাংলা বলে তাদের উপরে হামলা করা হয়েছে মূলত তারা আওয়ামী লীগ নয়। অন্য একটি কুচক্রী মহল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মামলার আসামী আরও দুইজনকে গত ১১মে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস গাড়ি যোগে পালানোর সময় বাসের টিকিটসহ মোঃ নুর আলম চৌধুরী ও রেজাউল হাসান রাজুকে জনতা আটক করে। পরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
এছাড়া নুর মিয়া (নুরা) আরো এক আসামিকে পরবর্তীতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এসেও কারাগারে আছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় এই পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এছাড়া গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আরও একটি মামলা আছে।