ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী হ*ত্যার ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪ Logo হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  Logo খুলনায় যুবদল নেতাকে গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা Logo চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা, ভিডিও ভাইরাল Logo চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা, ভিডিও ভাইরাল Logo হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার Logo নবীগঞ্জে লাগাতার সংঘর্ষের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৬ সাংবাদিকসহ ৩২ জনের নামে মামলা! অজ্ঞাত ৫হাজার Logo মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা Logo পাইকপাড়ায় ফিল্মি স্টাইলে ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় সহোদরসহ গ্রেফতার ৩ Logo জনি হত্যার আসামির ওপর আদালত প্রাঙ্গণে হামলা, ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের এজাহার দায়ের। সিসি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তারের নির্দেশ 

নদীকে তার মূল গতিপথে ফিরিয়ে না দিলে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব নয় : ধরা

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের মাধ্যমে খোয়াই নদীকে সংকটে ফেলা হয়েছে। নদীর দু’পাশে বন্যা প্রতিরোধ বাধ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। নদীর তীর বিনষ্টের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। তাই সমাধান পেতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

আজ  ২০ জুন (শুক্রবার) বেলা ১১ টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর একটি প্রতিনিধি দল খোয়াই নদীর পূর্ব ভাদৈ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাধ পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন।

ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শরীফ জামিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, ধরা হবিগঞ্জের উপদেষ্টা এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, আহবায়ক কবি তাহমিনা বেগম গিনি, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশকর্মী সাইফুল ইসলাম প্রমূখ। 

এ সময় প্রতিনিধি দল স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। 

ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে কিভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বিভিন্ন জনপদে ভাঙন ও মানবিক বিপর্যয় তৈরি করে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ খোয়াই নদীর এই অংশ। শুধু বাঁধ মেরামত কিংবা বালু উত্তোলন বন্ধ করে নয়; নদীকে তার মূল গতিপথে ফিরিয়ে না দিলে এই ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে রোধ করা অসম্ভব। তিনি অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

Oplus_131072

সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সংগঠক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, বছরের পর বছর বাঁধ মেরামত করে খোয়াই নদীর বান থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব নয়। অতীতে বাঁধ নির্মাণের জন্য  নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট খাল একটা সময় নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। ভাদৈ ও তেঘরিয়া এলাকায় সরজমিনে দেখা যায় খোয়াই নদীর মূল গর্ভে বিরাট চর সৃষ্টি হয়েছে, অপরদিকে সৃষ্ট খালে প্রবাহিত হচ্ছে মূল নদীটি। তাই ইকোলজিক্যাল মরফোলজি বিবেচনায় এনে পূর্বতন ভূমি রেকর্ড পর্যালোচনা করে মূল নদীর জায়গায় নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

 

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, খোয়াই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে যন্ত্র দ্বারা নির্বিচারে বালু – মাটি উত্তোলন করে নদী ও নদীতীর ঝুঁকিপূর্ণ করে রাখা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম কিংবা অন্য যেকোনো সময় নদীতে বান দেখা দেয়। অনেক সময় নদী তীর ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে। সৃষ্টি বন্যায় মানুষের জান মাল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসময় নদী তীরের বসবাসকারী জনগণকে আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়। এটা চলছে বছরের পর বছর যুগের পর যুগ ধরে। স্থায়ী কোন সমাধান আসছে না। যত্রতত্র বালু উত্তোলনের মাধ্যমে সংকট আরো ঘনিভূত হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক স্থায়ী সমাধানের বিকল্প নেই

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নদীকে তার মূল গতিপথে ফিরিয়ে না দিলে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব নয় : ধরা

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের মাধ্যমে খোয়াই নদীকে সংকটে ফেলা হয়েছে। নদীর দু’পাশে বন্যা প্রতিরোধ বাধ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। নদীর তীর বিনষ্টের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। তাই সমাধান পেতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

আজ  ২০ জুন (শুক্রবার) বেলা ১১ টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর একটি প্রতিনিধি দল খোয়াই নদীর পূর্ব ভাদৈ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাধ পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন।

ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শরীফ জামিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, ধরা হবিগঞ্জের উপদেষ্টা এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, আহবায়ক কবি তাহমিনা বেগম গিনি, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশকর্মী সাইফুল ইসলাম প্রমূখ। 

এ সময় প্রতিনিধি দল স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। 

ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে কিভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বিভিন্ন জনপদে ভাঙন ও মানবিক বিপর্যয় তৈরি করে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ খোয়াই নদীর এই অংশ। শুধু বাঁধ মেরামত কিংবা বালু উত্তোলন বন্ধ করে নয়; নদীকে তার মূল গতিপথে ফিরিয়ে না দিলে এই ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে রোধ করা অসম্ভব। তিনি অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

Oplus_131072

সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সংগঠক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, বছরের পর বছর বাঁধ মেরামত করে খোয়াই নদীর বান থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব নয়। অতীতে বাঁধ নির্মাণের জন্য  নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট খাল একটা সময় নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। ভাদৈ ও তেঘরিয়া এলাকায় সরজমিনে দেখা যায় খোয়াই নদীর মূল গর্ভে বিরাট চর সৃষ্টি হয়েছে, অপরদিকে সৃষ্ট খালে প্রবাহিত হচ্ছে মূল নদীটি। তাই ইকোলজিক্যাল মরফোলজি বিবেচনায় এনে পূর্বতন ভূমি রেকর্ড পর্যালোচনা করে মূল নদীর জায়গায় নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

 

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, খোয়াই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে যন্ত্র দ্বারা নির্বিচারে বালু – মাটি উত্তোলন করে নদী ও নদীতীর ঝুঁকিপূর্ণ করে রাখা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম কিংবা অন্য যেকোনো সময় নদীতে বান দেখা দেয়। অনেক সময় নদী তীর ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে। সৃষ্টি বন্যায় মানুষের জান মাল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসময় নদী তীরের বসবাসকারী জনগণকে আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়। এটা চলছে বছরের পর বছর যুগের পর যুগ ধরে। স্থায়ী কোন সমাধান আসছে না। যত্রতত্র বালু উত্তোলনের মাধ্যমে সংকট আরো ঘনিভূত হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক স্থায়ী সমাধানের বিকল্প নেই