মাধবপুরে নিশানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ এর প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই

- আপডেট সময় : ১২:৪৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ২০০ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জে প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে ‘নিশান’ এনজিও’র বিরুদ্ধে। এক নারীর করা মামলায় তদন্তে গিয়ে যার সত্যতা পেয়েছে পিবিআই। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ পিবিআই’র তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই পিসুষ দেবনাথ।
তিনি জানান- জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ায় অবস্থিত ‘নিশান’ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি নামক এনজিও প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন গ্রাহকের নিকট হতে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করে আসছিল। তারা প্রতি এক লক্ষ টাকায় ২,৫০০/-টাকা প্রতি মাসে লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া যাবে বলে গ্রাহকদের প্রলুদ্ধ করে। সহজ সরল গ্রাহক ওই প্রতিষ্ঠানের প্রলোভনে পড়ে বড় অংকের আর্থিক বিনিয়োগ করতে থাকেন। প্রথম দিকে গ্রাহকদের লগ্নিকৃত অর্থের বিনিময়ে লভ্যাংশ দিয়ে আসতে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা গ্রাহকের টাকা না দিয়ে আত্মগোপন করে।
নিশান সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে রয়েছেন মোঃ মঈন উদ্দিন, তাহার আপন ভাই মোঃ জালাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, মোঃ মঈন উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ আমেনা বেগম ডেপুটি ডিরেক্টর, মোঃ মঈন উদ্দিন এর ছেলে আঃ জলিল সায়েম এইচআর ডিভিশন এর দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। তারা এলাকার একাধিক দালাল নিয়োগ করে গ্রহকদের টাকা বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে থাকে। গ্রাহকদের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে বর্তমানে তারা অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপন করেছে।
তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই পিসুষ দেবনাথ আরো বলেন- গ্রাহকদের মধ্যে তেলিয়াপাড়া সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপ্না রানী রায় নামে এক নারী দালালদের দ্বারা প্রলোভনে পড়ে নিশান সোসাইটিতে ধাপে ধাপে মোট ১৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। প্রথম দিকে তিনি লভ্যাংশের টাকা পেলেও একসময় উক্ত প্রতিষ্ঠান টাকা না দিয়ে নানান ধরনের টালবাহানা শুরু করে। দিনের পর দিন তিনি প্রতিষ্ঠানের তেলিয়াপাড়াস্থ অফিসে যোগাযোগ করলেও তার বিনিয়োগকৃত মূল টাকা কিংবা লভ্যাংশের টাকা কোনটাই তিনি ফেরত পাননি।
পরবর্তীতে তিনি ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। মামলাটি আদালত তদন্তের দায়িত্ব দেন হবিগঞ্জ পিবিআইকে। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পিবিআই পর্যাপ্ত পরিমান স্বাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে নিশান সোসাইটির প্রতারণার বিষয়ে সত্যতার প্রমাণ পায়। পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তদন্তকারি কর্মকর্তা। শুধু স্বপ্না রানী নয়, এমন আরো শত শত গ্রহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও এনজিও ‘নিশান’।