হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কিশোরীকে ধর্ষণ! চালক গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ১২:৫০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
সিলেট থেকে নবীগঞ্জ ফেরার পথে চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ–অভিযান চালিয়ে বাসচালক সাব্বির মিয়াকে (২৭) গ্রেফতার করেছে। এসময় ভুক্তভোগী কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ–আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাসচালককে আটক ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে কাজ করেন। রোববার তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের একটি বাসে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়। সিলেটে পৌঁছানোর পর ঘুম ভাঙলে ওই কিশোরী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট-নবীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে ওঠেন। শেরপুর এলাকায় পৌঁছানোর পর অন্যান্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে ওই ভুক্তভোগী কিশোরী একা হয়ে পড়েন।
এরপর চলন্ত অবস্থায় বাসের চালকের সহকারী লিটন মিয়া ও পরে চালক সাব্বির মিয়া পালাক্রমে তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কিশোরী জোরে চিৎকার শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা–পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ছালামতপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের গতিরোধ করে বাসচালক সাব্বির মিয়াকে আটক এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তবে চালকের সহকারী লিটন মিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাসচালককে আটক ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’