বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,হবিগঞ্জ জেলা শাখার “মুখপাত্র” রাশেদার পদত্যাগ

- আপডেট সময় : ০৩:২৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ২২১ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,হবিগঞ্জ জেলা শাখার “মুখপাত্র” রাশেদা বেগম পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার ৩ জুন বিকাল ৩টার দিকে তিনি লিখিত নোটিশের মাধ্যমে বিষয় নিশ্চিত করেন। রাশেদা বেগমের নোটিশটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।
তিনি লিখেন, আমার নাম রাশেদা বেগম,আমি আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে পড়াশোনা কন্টিনিউ চালিয়ে যাওয়ার নিমিত্তে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,হবিগঞ্জ জেলা শাখার “মুখপাত্র” পদ থেকে প্রাথমিক ভাবে অনলাইনে সেচ্ছায়,স্বজ্ঞানে পদত্যাগ করিলাম।আজকের পর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,হবিগঞ্জ জেলা শাখা কমিটির কোন ধরনের কার্যক্রমের সাথে আমি সংযুক্ত নই।লাউড এন্ড ক্লিয়ার।
বর্তমানে আমি ঢাকা অবস্থান করায় প্রেস ব্রিফিং করা সম্ভব হয়নি।আমার ঢাকার কার্যক্রম পরিশেষে হবিগঞ্জ পৌছেই প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে লিখিত আকারে আমার পদত্যাগের বিষয় টি সর্বস্তরে জানিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।
আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে পূর্বে বা বর্তমানে যুক্ত নই।ভবিষ্যতে ও কোন রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আশংকা আমার নাই।কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে আমি আমার দেশ ও মানবসেবার কাজে নিয়োজিত থাকতে চাই।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
নোটঃআমার পদত্যাগের বিষয়ে কোন প্রকারের মিথ্যা গুজব বা বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ রইলো।
এ বিষয়ে রাশেদা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন , আমি এইচএসসি পাস করার পর তথ্য আপা পদে চাকরি নিয়েছিলাম। বর্তমানে আমি মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি পড়াশুনা করলে ভালো একটা চাকরি হবে আশাবাদী। এই কথা চিন্তা করে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।গত কয়েকদিন ধরে আমরা দেখছি তথ্য আপা পদের চাকরিটি স্থায়ী করার জন্য আপনারা ঢাকায় আন্দোলন করছেন।যদি এই চাকরি স্থায়ী হইতো তাহলে কি আপনি বৈষম্য বিরোধী কমিটির সাথে থাকতেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই থাকতাম কিন্তু তথ্য আপা পদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হচ্ছে না, আর আমাদের চাকরিও স্থায়ী করা হচ্ছে না।এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বৈষম্য বিরোধী কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।