শহরে অস্ত্রের মুখে ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ! আজমিরীগঞ্জের ইউএনও’র ড্রাইভার গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ১২:০৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জ শহরের শ্মশানঘাট থেকে অস্ত্রের মুখে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আজমিরীগঞ্জ ইউএনও’র গাড়ি চালক শাহরিয়া চৌধুরী শাহিন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীনের নির্দেশে এসআই আওলাদ হোসেন শহরের শ্যামলী এলাকায় তার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। সে চুনারুঘাট উপজেলা সদরের আব্দুল মন্নানের পুত্র ও ২ সন্তানের জনক। এ ঘটনায় পইল গ্রামের নির্যাতিতার মা বাদি হয়ে সদর থানায় শাহীনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জানা যায়, তার ১৫ বছরের কন্যা হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। শ্মশানঘাট এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তো। এ সুযোগে গাড়ি চালক শাহীন তার ওপর কুনজর দেয়। বিভিন্ন সময় তাকে উত্যক্ত করতো। কিন্তু স্বামী পরিত্যাক্তা ছাত্রীর মা শামীমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। ফলে দিন দিন উত্যক্তের মাত্রা বাড়তে থাকে। গত ২৫ মে প্রতিদিনের মতো ওই ছাত্রী কোচিং সেন্টারে যাবার সময় শ্মশানঘাট এলাকা থেকে দুপুর ১২টার দিকে। শাহীন অস্ত্রের মুখে করে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে করে শ্যামলী তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। বিকালের দিকে ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে তাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রী পইল তার বাড়ি গিয়ে বিস্তারিত তার মাকে জানায় এবং রক্তপাত বন্ধ না হলে তাকে সদর হাসপাতালে আসার চেষ্টা করলে শাহীন তাদের ফোন দিয়ে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়। ওইদিন রাতে হাসপাতালে আসেনি। কিন্তু পরের দিন অচেতন হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হবার পর থানাকে অবগত করলে ওসি তাৎক্ষনিক মামলা রুজু করে শাহীনকে ধরতে অভিযান চালাতে থাকেন। কয়েকদিন পলাতক থাকার পর গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসআই আওলাদ হোসেন জানান, ধর্ষণের অভিযোগে শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং ভিকটিমের আইনগত কার্যক্রমসহ তাকে মায়ের জিম্মায় দেয়া হবে।
ওসি জানান, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়ের অনুমতি নিয়েই গাড়ি চালক শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরন করা হবে।















