ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নিখোঁজের চার দিনেও খোঁজ মিলেনি মাদ্রাসা ছাত্র রিফাত হাসানের Logo লাখাইয়ে ঈদগাহ মাঠে বসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১৬ Logo হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট এক্সপ্রেস বাস চলাচল বন্ধ Logo এবার ঈদে পশু কুরবানি কমেছে পৌনে ১৩ লাখ Logo বাহুবলে আলী আহমদ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট Logo বাহুবলে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ১ Logo মাধবপুরে রাবার ড্যাম থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার Logo বানিয়াচংয়ে ঈদের ২য় দিন টেটা যুদ্ধে নিহত ১, আহত অর্ধশত Logo জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরাতন খোয়াই নদী, পুকুর ও জলাশয় নিয়ে শীর্ষক আলোচনা সভা Logo শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের সকলেই মুক্তিযোদ্ধা: ফারুক ই আজম

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের অবৈধ পরিষদ বাতিল ও প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ২২২ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 হবিগঞ্জ জেলার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বানিজ্য সংগঠন হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রি বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে সদরের সাবেক এমপি আবু জাহির এর ছত্র ছায়ায় তারই আশির্বাদপুষ্ট ও জুলাই গণআন্দোলনে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী দেশ থেকে পলাতক গুন্ডা বাহিনী আওয়ামীলীগের দোসর মিজানুর রহমান শামীম, মোতাছিরুল ইসলাম ও আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত নোংরামীর মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দ্বারা বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের জনমনে আতংক সৃষ্টি করে মনগড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে রাতের অন্ধকারে বিনা নোটিশে গোটাখানেক পত্রিকার মাধ্যমে তফসিল ঘোষনা ও তফসিল গোপন করে কতিপয় আওয়ামীলীগপন্থি নেতাকর্মী যারা আদৌ কোন ব্যবসায়ী নয় তাদেরকে সাথে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঞ্চিত আমানত যা জনতা ব্যাংক পিএলসি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি (যা অসৎ উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসিতে স্থানান্তরিত হয় যা পরিবর্তীতে আবু হেনা মোস্তফা কামালের ব্যক্তিগত একাউন্টে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াধীন আছে)। মিউচ্যুয়াল টাস্ট ব্যাংক পিএলসি, আইসিবি ব্যাংক, পিএলসি থেকে বিগত ক্ষমতাশীন দলের পীর সাহেব আবু জাহির এর ক্ষমতাবলে হুমকির মাধ্যমে উল্লেখিত ব্যাংক থেকে চেম্বারের নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা ছাড়াই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এর নাম ভাঙ্গিয়ে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিশ্বস্থ ভ্যান গার্ড মাদক সম্রাট আবু হেনা মোস্তফা কামাল ব্যাংকের যাবতীয় ডিপোজিটের টাকা মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে তড়িৎ গতিতে জুলাই আন্দোলনের সময়ে সরকারের অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চেম্বার হইতে আত্মসাৎকৃত অর্থ বিদেশে পাচারের মাধ্যমে হবিগঞ্জের ডন হিসাবে আধিপত্য গড়তে এবং চেম্বার পরিষদকে নষ্ট করতে একটি ভয়ংকর নীল-নকশার মাধ্যমে সম্প্রতি চেম্বারের তহবিলকে গ্রাস করে উত্তোলনকৃত পাচার হওয়া বিদেশি টাকা সাদা করার পায়তারা করতেছে। যা আজকে আমাদের জেলার সমস্ত ব্যবসায়ীদের মনে একটি ঘৃনার ও জনক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যার ফলশ্রুতিতে এরূপ ঘৃনিত কাজের জন্য সমস্ত ব্যবসায়ী একত্র হয়ে আমাদের প্রানের সংগঠন হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্টিকে বিগত ক্ষমতাশীন দলের দালালদের হাত থেকে রক্ষার জন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। আমরা চাই বানিজ্য

 

মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপে হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্টিকে আওয়ামী দোসরদের দালাল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ভোটবিহীন একটি অকার্যকর কমিটি বাতিল করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে নতুন করে যাচাই বাচাই এর মধ্যেমে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে অন্তর্ভুক্ত ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা করে একটি সুষ্ট নির্বাচন দিয়ে হবিগঞ্জের সর্বস্থরের ব্যবসায়ীদের মনে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দূর্নীতিগ্রন্থ অবহেলিত চেম্বার পরিষদের সুনাম ও প্রাণ রক্ষা করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

যে সকল কর্মকান্ডের জন্য আমরা সর্বস্থরের ব্যবসায়ীরা একত্র হয়েছি তা নিম্নে প্রকাশ

করা হলো।১। এজিএম প্রসঙ্গ:- বিগত ১৫ বছরে ব্যবসায়ীদের সাথে কোন এজিএম বা

বার্ষিক সাধারণ সভা হয়নি। যা বানিজ্য সংগঠন ৩১.০৭.২০০২ইং এর আদেশ-৫ (১) এ বলা আছে প্রতি বছরে আবশ্যিক ভাবে একটি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত হইবে। একই আদেশের ৫ (৪) এর উপদফা ১, ২ ও ৩ অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা করতে কার্যনিবাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য নির্বাহী সদস্যগণ ব্যর্থ হইলে পরবর্তী ৬ বছরের জন্য বানিজ্য সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবেন না। অথচ হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্টি এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট অবু হেনা মোস্তফা কামাল ও আওয়ামী দোসরদের দূর্নীতিগ্রস্থ কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যগণ দ্বারা ক্ষমতার জোরে চেম্বার পরিষদকে কুক্ষিগত করে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে চেয়ারে থেকে বছরের পর বছর দূর্নীতি করে যাচ্ছে। যার জন্য সাধারণ ব্যবসায়ীদের জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা অবৈধ পরিষদ বাতিল, প্রশাসক নিয়োগ ও সুষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমে চেম্বারকে কলংক মুক্ত করতে ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।২। সঞ্চয়কৃত টাকার হিসাব: বিগত ১৫ বছরে চেম্বার পরিষদের জমাকৃত টাকা (ক) জনতা ব্যাংক (খ) প্রাইম ব্যাংক (গ) আইসিবি ব্যাংক (ঘ) মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর গায়েব হওয়া কোটি টাকা লুট-পাটের হিসাব সচ্ছ জবাবদিহির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা জানতে চায়।৩। হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে হয়রানী, দূর্নীতি ও চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে:- ব্যবসায়ীদের মুখোমুখি সচ্ছ জবাবদিহিতার দূরদর্শিদা, দূরত্ব কমিয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তরের প্রত্যাশী।৪। অবৈধ ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে:- ক্ষমতার চেয়ারকে অসৎ উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজেদের দখলে রাখার ধারাবাহিকতা রক্ষায় কোন যাচাই-বাচাই ছাড়া লোক দেখানো আইওয়াশ অবৈধ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করণ যা সাধারণ ভোটার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ঘৃনার সৃষ্টি করে। যার জন্য ধিক্ষার জানাই।৫। নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচন:- বানিজ্য মন্ত্রানালয়ের ৩১.০৭.২০০২ইং এর আদেশে ১ (৩) এ স্পষ্ট বলা আছে প্রতি মেয়াদে ২বছর অর্থাৎ ২৪ মাসের জন্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে পর পর তিনবার অর্থাৎ ৬বছরের জন্য নির্বাচিত হইলে উক্ত মেয়াদের পর পরবর্তী দুই বছর নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবে না। অথচ এসমস্ত নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে আওয়ামীলীগের অন্যতম দোসর মোতাছিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান শামীম ও সাবেক সংসদ ইনুর দালাল আবু হেনা মোস্তফা কামাল বছরের পর বছর চেম্বার পরিষদকে কুক্ষিগত করে রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগ ও জাসদের গুন্ডা বাহিনীর ক্যাডার দ্বারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ক্ষমতার লোভে নামে মাত্র জবাব দিহিতার জন্য ডামি আই ওয়াশ তফসিল ও অবৈধ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে রাখে। যে সকল তালিকার কোন সদস্যই কোন ব্যবসায়ী নয়। যা হবিগঞ্জের সর্বস্থরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের আরও একটি অন্যতম কারণ। পরিশেষে বলতে চাই যে, বর্তমান চেম্বারের অবৈধ কমিটি বাতিলপূর্বক প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে যাচাই বাচাই করে ভুয়া ভোটার বাতিল করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে অর্ন্তভুক্ত করে নতুন সচ্ছ ভোটার তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে একটি সুষ্ট নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি চেম্বারের কোটি টাকা লুপাটে যারা জড়িত তদন্ত পূর্বক এদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন হাজী মোহাম্মদ এনাম, আজিজুর রহমান কাজল, শামসুল ইসলাম মতিন, ফখরুল ইসলাম বাবুল, ইকরাম চৌধুরী, সৈয়দ রিয়াজ, মহিবুর রহমান টিপু, মোশারফ হোসেন মনজু, নুরুল হক টিপু, শাহ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সুমন, সুমন আহমেদ, পারভেজ খান ও হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ।

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের অবৈধ পরিষদ বাতিল ও প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১১:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 হবিগঞ্জ জেলার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বানিজ্য সংগঠন হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রি বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে সদরের সাবেক এমপি আবু জাহির এর ছত্র ছায়ায় তারই আশির্বাদপুষ্ট ও জুলাই গণআন্দোলনে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী দেশ থেকে পলাতক গুন্ডা বাহিনী আওয়ামীলীগের দোসর মিজানুর রহমান শামীম, মোতাছিরুল ইসলাম ও আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত নোংরামীর মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দ্বারা বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের জনমনে আতংক সৃষ্টি করে মনগড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে রাতের অন্ধকারে বিনা নোটিশে গোটাখানেক পত্রিকার মাধ্যমে তফসিল ঘোষনা ও তফসিল গোপন করে কতিপয় আওয়ামীলীগপন্থি নেতাকর্মী যারা আদৌ কোন ব্যবসায়ী নয় তাদেরকে সাথে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঞ্চিত আমানত যা জনতা ব্যাংক পিএলসি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি (যা অসৎ উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসিতে স্থানান্তরিত হয় যা পরিবর্তীতে আবু হেনা মোস্তফা কামালের ব্যক্তিগত একাউন্টে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াধীন আছে)। মিউচ্যুয়াল টাস্ট ব্যাংক পিএলসি, আইসিবি ব্যাংক, পিএলসি থেকে বিগত ক্ষমতাশীন দলের পীর সাহেব আবু জাহির এর ক্ষমতাবলে হুমকির মাধ্যমে উল্লেখিত ব্যাংক থেকে চেম্বারের নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা ছাড়াই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এর নাম ভাঙ্গিয়ে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিশ্বস্থ ভ্যান গার্ড মাদক সম্রাট আবু হেনা মোস্তফা কামাল ব্যাংকের যাবতীয় ডিপোজিটের টাকা মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে তড়িৎ গতিতে জুলাই আন্দোলনের সময়ে সরকারের অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চেম্বার হইতে আত্মসাৎকৃত অর্থ বিদেশে পাচারের মাধ্যমে হবিগঞ্জের ডন হিসাবে আধিপত্য গড়তে এবং চেম্বার পরিষদকে নষ্ট করতে একটি ভয়ংকর নীল-নকশার মাধ্যমে সম্প্রতি চেম্বারের তহবিলকে গ্রাস করে উত্তোলনকৃত পাচার হওয়া বিদেশি টাকা সাদা করার পায়তারা করতেছে। যা আজকে আমাদের জেলার সমস্ত ব্যবসায়ীদের মনে একটি ঘৃনার ও জনক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যার ফলশ্রুতিতে এরূপ ঘৃনিত কাজের জন্য সমস্ত ব্যবসায়ী একত্র হয়ে আমাদের প্রানের সংগঠন হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্টিকে বিগত ক্ষমতাশীন দলের দালালদের হাত থেকে রক্ষার জন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। আমরা চাই বানিজ্য

 

মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপে হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্টিকে আওয়ামী দোসরদের দালাল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ভোটবিহীন একটি অকার্যকর কমিটি বাতিল করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে নতুন করে যাচাই বাচাই এর মধ্যেমে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে অন্তর্ভুক্ত ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা করে একটি সুষ্ট নির্বাচন দিয়ে হবিগঞ্জের সর্বস্থরের ব্যবসায়ীদের মনে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দূর্নীতিগ্রন্থ অবহেলিত চেম্বার পরিষদের সুনাম ও প্রাণ রক্ষা করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

যে সকল কর্মকান্ডের জন্য আমরা সর্বস্থরের ব্যবসায়ীরা একত্র হয়েছি তা নিম্নে প্রকাশ

করা হলো।১। এজিএম প্রসঙ্গ:- বিগত ১৫ বছরে ব্যবসায়ীদের সাথে কোন এজিএম বা

বার্ষিক সাধারণ সভা হয়নি। যা বানিজ্য সংগঠন ৩১.০৭.২০০২ইং এর আদেশ-৫ (১) এ বলা আছে প্রতি বছরে আবশ্যিক ভাবে একটি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত হইবে। একই আদেশের ৫ (৪) এর উপদফা ১, ২ ও ৩ অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা করতে কার্যনিবাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য নির্বাহী সদস্যগণ ব্যর্থ হইলে পরবর্তী ৬ বছরের জন্য বানিজ্য সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবেন না। অথচ হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্টি এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট অবু হেনা মোস্তফা কামাল ও আওয়ামী দোসরদের দূর্নীতিগ্রস্থ কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যগণ দ্বারা ক্ষমতার জোরে চেম্বার পরিষদকে কুক্ষিগত করে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে চেয়ারে থেকে বছরের পর বছর দূর্নীতি করে যাচ্ছে। যার জন্য সাধারণ ব্যবসায়ীদের জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা অবৈধ পরিষদ বাতিল, প্রশাসক নিয়োগ ও সুষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমে চেম্বারকে কলংক মুক্ত করতে ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।২। সঞ্চয়কৃত টাকার হিসাব: বিগত ১৫ বছরে চেম্বার পরিষদের জমাকৃত টাকা (ক) জনতা ব্যাংক (খ) প্রাইম ব্যাংক (গ) আইসিবি ব্যাংক (ঘ) মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর গায়েব হওয়া কোটি টাকা লুট-পাটের হিসাব সচ্ছ জবাবদিহির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা জানতে চায়।৩। হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে হয়রানী, দূর্নীতি ও চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে:- ব্যবসায়ীদের মুখোমুখি সচ্ছ জবাবদিহিতার দূরদর্শিদা, দূরত্ব কমিয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তরের প্রত্যাশী।৪। অবৈধ ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে:- ক্ষমতার চেয়ারকে অসৎ উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজেদের দখলে রাখার ধারাবাহিকতা রক্ষায় কোন যাচাই-বাচাই ছাড়া লোক দেখানো আইওয়াশ অবৈধ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করণ যা সাধারণ ভোটার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ঘৃনার সৃষ্টি করে। যার জন্য ধিক্ষার জানাই।৫। নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচন:- বানিজ্য মন্ত্রানালয়ের ৩১.০৭.২০০২ইং এর আদেশে ১ (৩) এ স্পষ্ট বলা আছে প্রতি মেয়াদে ২বছর অর্থাৎ ২৪ মাসের জন্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে পর পর তিনবার অর্থাৎ ৬বছরের জন্য নির্বাচিত হইলে উক্ত মেয়াদের পর পরবর্তী দুই বছর নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবে না। অথচ এসমস্ত নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে আওয়ামীলীগের অন্যতম দোসর মোতাছিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান শামীম ও সাবেক সংসদ ইনুর দালাল আবু হেনা মোস্তফা কামাল বছরের পর বছর চেম্বার পরিষদকে কুক্ষিগত করে রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগ ও জাসদের গুন্ডা বাহিনীর ক্যাডার দ্বারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ক্ষমতার লোভে নামে মাত্র জবাব দিহিতার জন্য ডামি আই ওয়াশ তফসিল ও অবৈধ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে রাখে। যে সকল তালিকার কোন সদস্যই কোন ব্যবসায়ী নয়। যা হবিগঞ্জের সর্বস্থরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের আরও একটি অন্যতম কারণ। পরিশেষে বলতে চাই যে, বর্তমান চেম্বারের অবৈধ কমিটি বাতিলপূর্বক প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে যাচাই বাচাই করে ভুয়া ভোটার বাতিল করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে অর্ন্তভুক্ত করে নতুন সচ্ছ ভোটার তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে একটি সুষ্ট নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি চেম্বারের কোটি টাকা লুপাটে যারা জড়িত তদন্ত পূর্বক এদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন হাজী মোহাম্মদ এনাম, আজিজুর রহমান কাজল, শামসুল ইসলাম মতিন, ফখরুল ইসলাম বাবুল, ইকরাম চৌধুরী, সৈয়দ রিয়াজ, মহিবুর রহমান টিপু, মোশারফ হোসেন মনজু, নুরুল হক টিপু, শাহ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সুমন, সুমন আহমেদ, পারভেজ খান ও হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ।