হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিখোঁজের ১০ দিন পর ফারুক মিয়া (৪৯) নামে এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় মাধবপুর থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । উক্ত ঘটনায় মাধবপুর থানায় ১টি হত্যা মামলা রুজু হয়।

এ ঘটনায় জড়িত বহরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মোঃ নাজির আহাম্মেদ এর পুত্র মোহাম্মদ আলীরুবেল (৩২), বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের মৃত মতি লাল কর্মকারের পুত্র  বিধান কর্মকার (৩৫) কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী বিধান কর্মকার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে শনিবার বিকেল ৪ টায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মূলত পাওনা টাকার জেরে হত্যাকান্ডটি করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার সকালে আখাউড়া-সিলেট রেল লাইনের মনতলা অপরুপা স্কুলের পশ্চিম পাশের জঙ্গল থেকে ফারুক মিয়ার লাশটি উদ্ধার হয়।

পথচারী স্থানীয় লোকজন পঁচা গন্ধের কারণ খোঁজতে গিয়ে লাশের সন্ধান পায়। খবর পেয়ে নিখোঁজ ফারুকের পরিবারের লোকজন এসে লাশটি শনাক্ত করে।

জানা গেছে, গত ১৩ মে বিকালে মনতলা বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হন উপজেলার বহরা ইউনিয়নের আফজলপুর গ্রামের ফারুক মিয়া।

ফারুকের দ্বিতীয় ছেলে আকিবুল ইসলাম জানান, তার বাবা ওই দিন মনতলা বাজার গিয়েছিল বাজার করতে। সে সময়ে একই এলাকার রুবেল নামে জনৈক ব্যক্তি ফারুকের মোবাইলে কল দিয়ে নিয়ে যায়।

এরপর থেকে তার বাবার মোবাইল ফোন বন্ধ হয় এবং ফারুককে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল বলে নিহত ফারুকের স্ত্রী জানিয়েছে।

খবর পেয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ একদল পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।