সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভিযান

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে অভিযান করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। ৬ মে সকাল ১১ টায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে তারা বিভিন্ন অনিয়ম এবং সমস্যা দেখতে পান। যা সমাধানের
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার।

হবিগঞ্জ শাখার মুখপাত্র রাশেদা বেগম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, তারা জরুরী বিভাগে স্লিপ কাটার সময় ৫ টাকার জায়গায় ১০ টাকা এবং ভর্তির ক্ষেত্রে স্লিপসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১৫ টাকার স্থলে ২০ টাকা রাখা, ব্লাড টেস্ট করার সময় অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া রিপোর্ট প্রদান করা, তাছাড়া টেস্ট কার্যক্রম যেখানে ২:৩০ পর্যন্ত চলার কথা সেখানে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যেই টেস্ট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া, হাসপাতালের ঔষধ কাউন্টারে প্রায় ৩০-৩৫ টি ঔষধের নামের তালিকা থাকলেও প্রতিদিন ওই তালিকা অনুযায়ী কয়টা ঔষধ আছে বা নাই সেগুলা চার্টে না দেওয়া, হাতে গুনা কয়েকটি ঔষধ যেমন, গ্যাস্টিকের ঔষধ, প্যারাসিটাল, ক্যালসিয়াম জাতীয় কয়েকটা ঔষধ ছাড়া বাকী ঔষধ বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনে আনতে বলা, গাইনী ওয়ার্ডে একজন মায়ের সন্তান হওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার নাম করে বা বকশিস এর কথা বলে নার্স এবং আয়ারা মায়েদের কাছ থেকে ১০০০-২০০০ পর্যন্ত টাকা নেয়া,
মাঝে মধ্যে আয়া বা ঝাড়ুদারদের দিয়ে রুগীদের ইনজেকশন এর কাজ চালিয়ে নেওয়া অভিযোগ পান।
এছাড়া নবজাতক শিশু ওয়ার্ডে বাচ্চাদের বিশেষ কোন কেয়ার সার্ভিসসহ স্টেন ভিত্তিক কোন সিট না থাকা, সব মা সহ সব নবজাতক শিশুদের মেঝেতে বেড দিয়ে রাখা এবং সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা করে রাখা, কিছু কিছু রোমে পর্যাপ্ত সিটের তুলনায় রোগীর সংখ্যা দ্বীগুন দেখা যায়। যেমন গাইনী ওয়ার্ডে স্টেন্ডিং সিট ১৭ টি এবং মেঝে সহ মোট ৩০-৩৫ টি সিট রয়েছে।কিন্তু রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৬ জন। রোগীর সাথে ২-৩ জন করে আত্মীয় স্বজন তো আছেনই। যার ফলে রোগীরা সুস্থ হওয়ার চাইতে আর ও বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
রাশেদা বেগম বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাক্তার এবং স্টাফ নেই সদর হাসপাতালে। যেখানে ডাক্তার থাকার কথা ৫৭ জন সেখানে মাত্র ২০ জন ডাক্তার বর্তমানে আছেন এবং বেশিরভাগ ডাক্তারই ১২ টার আগে হাসপাতালে আসেন না। সদর হাসপাতালে দালালদের আখড়া রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত রোগীদের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেমন মোবাইল এবং টাকা চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটছে। ফলে রোগীরা অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
রোগীদের তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ সরবরাহ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট নেই, রোগীদের কাটা-ছেড়ার কাজ আউট লোকদের দিয়ে করানো হয় যাদের ডাক্তারির কোন সার্টিফিকেট নেই। এবং রোগীদের থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা আদায় করা হয়।
প্রত্যেকটি বিষয় তারা অবগত হন এবং হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার এর সাথে কথা বলেন।
তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেছেন এই সকল অনিয়ম এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।