ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে থান কাপড়ে মোড়ানো ৫৭ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo নদীকে তার মূল গতিপথে ফিরিয়ে না দিলে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব নয় : ধরা Logo জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের পরীক্ষা দিতে গিয়ে গ্রেফতার জেলা প্রশাসনের কর্মচারী! Logo শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! Logo যে অভিশাপে ৮০ বছরের বেশি টেকে না ইহুদী রাষ্ট্র! Logo বাহুবলে বিএনপির অফিস ভাংচুর ৩৭ জনের নামে মামলা Logo ‘মরো অথবা পালাও’, ইসরাইলিদের যে কোনো একটি বেছে নিতে বললো ইরান Logo বাড়ির উঠানে গাঁজার গাছ! মালিক গ্রেফতার Logo বাহুবলে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৯২ কেজি গাঁজাসহ কারবারি আটক Logo শায়েস্তাগঞ্জে রঙ মিশ্রিত মাছ বিক্রি, দুই ব্যবসায়ীর ২১ কেজি মাছ জনসম্মুখে বিনষ্ট

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে শতবর্ষী বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

হবিগঞ্জে শতবর্ষী গাছ কাটা নিয়ে ক্ষোভ

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে শতবর্ষী বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলায় স্থানীয় শিক্ষার্থী ও পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শুক্রবার বিকালে শহরের বৃন্দাবন সরকারি কলেজ এলাকায় গাছগুলো কাটা শুরু করে শ্রমিকরা। বিষয়টি নজরে এলে শিক্ষার্থী ও সচেতন ব্যক্তিরা বাধা দেন বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)র সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।

তবে বাধা দেওয়ার আগেই ৯টির মধ্যে পাঁচটি গাছ কেটে ফেলেছে শ্রমিকরা। গাছগুলোর বেশিরভাগই পুরনো ও বৃহৎ আকৃতির, যেগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল।

গাছ কাটার ঘটনায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ বলেন- “এই গাছগুলো দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখছিল। কী কারণে এগুলো কাটা হল তা আমার বোধগম্য নয়।”

রবিন মিয়া বলেন- “গাছগাছালি আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে। শতবর্ষী গাছগুলো কাটায় আমরা হতাশ।”

গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ গাছগুলো কাটার জন্য নিলাম দিয়েছিল। নিলামের কার্যাদেশ অনুযায়ী গাছগুলো কাটা হচ্ছিল।

তবে কী কারণে এই গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাপার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “সরকার যেখানে পরিবেশ সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেখানে একটি সরকারি স্থাপনায় শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত দুঃখজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা চাই বাকী গাছগুলো যেন আর না কাটা হয়। আর যেগুলো কাটা হয়েছে তার জন্য জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “দেয়াল সম্প্রসারণ করার জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছিল। স্থানীয়দের বাধায় গাছ কাটা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন কী করা যায় জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে শতবর্ষী বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

হবিগঞ্জে শতবর্ষী গাছ কাটা নিয়ে ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০২:২১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে শতবর্ষী বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলায় স্থানীয় শিক্ষার্থী ও পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শুক্রবার বিকালে শহরের বৃন্দাবন সরকারি কলেজ এলাকায় গাছগুলো কাটা শুরু করে শ্রমিকরা। বিষয়টি নজরে এলে শিক্ষার্থী ও সচেতন ব্যক্তিরা বাধা দেন বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)র সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।

তবে বাধা দেওয়ার আগেই ৯টির মধ্যে পাঁচটি গাছ কেটে ফেলেছে শ্রমিকরা। গাছগুলোর বেশিরভাগই পুরনো ও বৃহৎ আকৃতির, যেগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল।

গাছ কাটার ঘটনায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ বলেন- “এই গাছগুলো দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখছিল। কী কারণে এগুলো কাটা হল তা আমার বোধগম্য নয়।”

রবিন মিয়া বলেন- “গাছগাছালি আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে। শতবর্ষী গাছগুলো কাটায় আমরা হতাশ।”

গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ গাছগুলো কাটার জন্য নিলাম দিয়েছিল। নিলামের কার্যাদেশ অনুযায়ী গাছগুলো কাটা হচ্ছিল।

তবে কী কারণে এই গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাপার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “সরকার যেখানে পরিবেশ সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেখানে একটি সরকারি স্থাপনায় শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত দুঃখজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা চাই বাকী গাছগুলো যেন আর না কাটা হয়। আর যেগুলো কাটা হয়েছে তার জন্য জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “দেয়াল সম্প্রসারণ করার জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছিল। স্থানীয়দের বাধায় গাছ কাটা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন কী করা যায় জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে।