হবিগঞ্জে ফিতরার টাকা দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ

- আপডেট সময় : ০১:৩১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ২১২ বার পড়া হয়েছে
চুনারুঘাট উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী (১৩) কে ফিতরার টাকা দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চালিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এমন একটি ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরীর অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়েছে। এরপরও লম্পটকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ
ওই কিশোরীর পিতা রাণীগাঁও ইউনিয়নের পারকুল উত্তর বস্তি গ্রামের দুলা মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, তার কিশোরী কন্যা রাণীগাঁও দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী। কিশোরীর মা রাফিয়া খাতুন বাড়িতে ঝি এর কাজ করে সংসার চালায়।
একই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের পুত্র আব্দুল গফ্ফার ওরফে গোপাল মিয়া ফিতরার টাকা দিবে বলে গত ২৪ মার্চ বিকালে তার ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী বিষয়টি তার পিতাকে জানায় এরপর মামলা করা হয়। এ নিয়ে গ্রামজুড়ে সমালোচনা শুরু করে।
জানা যায়, গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেম্বার থানার কথিত সোর্স আছকির মিয়া বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা চালায়। ওই কিশোরীকে গোপাল মিয়া তার লোকজন এবং আছকির মেম্বার বাড়িতে দুইদিন আটকে রেখে টাকার বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা করে। ওই ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৬ মার্চ চুনারুঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও চলে গড়িমসি। এক পর্যায়ে পুলিশ মামলা রুজু করে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে ঈদের আগের দিন বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দরিদ্র পিতা অভাব অনটনের কারণে মেয়েকে ঈদের কোনোকিছু কিনে দিতে পারেননি। এমনকি তার সংসারে ঈদের খুশিও ছিলোনা।
এদিকে মামলা করার কারণে প্রকাশ্যে ধর্ষক গোপাল ও তার লোকজন মামলাটি তুলে নিতে বাদীকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামি ধরতে যায়নি। এরকম ঘটনায় আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা যে কোনো সময় কঠিন কর্মসূচি দিবে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মৃদুল কুমার ভৌমিক জানান, আসামি পেলে ধরা হবে। তাদের কোনো ত্রুটি নেই।
এ বিষয়ে রাণীগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন জানান, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা করার ওই পরিবারকে করব।