হবিগঞ্জে এতিমখানার এক শিশুকে চুরির অপবাদে খুঁটিতে বেধে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ ওঠেছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ওই সদস্যকে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযুক্ত নূরুল হককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এতিমখানা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শহরের রাজনগর এলাকায় হবিগঞ্জ ইসলামিয়া এতিমখানার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম হাসানসহ কয়েকজন পাশে নিমার্ণাধীন একটি ভবনের ছাদে ঘুড়ি উড়াতে যায়। সেখানে প্যান্টের একটি বেল্ট পড়ে থাকতে দেখে উঠাতে যায় সে। এসময় ভবনের এক নির্মাণ শ্রমিক নাঈমকে আটক করে চুরির অপবাদ দেয়। পরে শিশুটিকে খুঁটিতে বেধে মারধোর করে ওই ভবনের মালিক, এতিমখানার পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুল হক ও জসিম নামের জনৈক ব্যক্তি। প্রায় ৩ ঘন্টা বেধড়ক মারধোরের পর দুপুর সাড়ে ১২টার শিশুটিকে এতিমখানার জিম্মায় দেয় তারা। এসময় শিশুটিকে কাঁদতে দেখে তার সহপাঠীরা বিষয়টি জানতে পারে। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা পুরো ঘটনা জানতে পেরে এতিমখানার পাশে নূরুল হককে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ নূরুল হককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, পুলিশ অভিযুক্ত নূরুল হককে আটক করেছে। নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবাবের কেউ যদি মামলা করতে না আসে, তাহলে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে।