ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে থান কাপড়ে মোড়ানো ৫৭ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo নদীকে তার মূল গতিপথে ফিরিয়ে না দিলে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব নয় : ধরা Logo জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের পরীক্ষা দিতে গিয়ে গ্রেফতার জেলা প্রশাসনের কর্মচারী! Logo শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! Logo যে অভিশাপে ৮০ বছরের বেশি টেকে না ইহুদী রাষ্ট্র! Logo বাহুবলে বিএনপির অফিস ভাংচুর ৩৭ জনের নামে মামলা Logo ‘মরো অথবা পালাও’, ইসরাইলিদের যে কোনো একটি বেছে নিতে বললো ইরান Logo বাড়ির উঠানে গাঁজার গাছ! মালিক গ্রেফতার Logo বাহুবলে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৯২ কেজি গাঁজাসহ কারবারি আটক Logo শায়েস্তাগঞ্জে রঙ মিশ্রিত মাছ বিক্রি, দুই ব্যবসায়ীর ২১ কেজি মাছ জনসম্মুখে বিনষ্ট

বাহুবলে শিক্ষিকা মিনারা আক্তারের খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জের বাহুবলে মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা মিনারা আক্তারকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যাকারী গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

 মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা সিলেট পুরাতন মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনকারীদের দাবি এঘটনায় ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মানববন্ধন শেষে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

নিহত শিক্ষক উপজেলা মহিলা জামিয়াতের সভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশনের সভাপতি আব্দুল আহাদের স্ত্রী। পশ্চিম জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা স্বামী স্ত্রী উভয়ই জামায়াতের রুকন ছিলেন।

মানববন্ধনে আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারী কলেজ, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা,ভূলকোট আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, সানশাইন মডেল হাই স্কুল, দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ,মিরপুর ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সানরাইজ হাই স্কুল, মিরপুর ইসলামি একাডেমি, করাঙ্গী ইসলামি একাডেমি এন্ড হাই স্কুল সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেে এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।

 

মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ সুলতানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাহুবল-নবীগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শাহজাহান আলী, আমেরিকাস্থ বাহুবল সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী দুলাল, আলিফ সোহান চৌধুরী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছাদিকুর রহমান, প্রভাষক আইয়ূব আলী, দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ন আহব্বায়ক আব্দুল আহাদ কাজল, ভুলকোট আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক মিজানুর রহমান, মিরপুর ইসলামি একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান মাসুম, মিরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুল হক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান অনু, মিরপুর ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান মাসুক, ছাত্রদল নেতা হেলাল মিয়া, দিলার এলাহী সাজু, জুয়েল মিয়া, নিহতের স্বামী আব্দুল আহাদসহ অনেকেই।

 

বক্তারা সবাই একই সুরে বলেন, জুলাইয়ের দাগ এখনো শুকায়নি, আমাদের শিক্ষক কবরে রেখে খুনিরা বাইরে থাকতে পারে না, দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার না করলে আবারো মহাসড়ক অবরোধ করে ডিসি অফিস থানা ঘেরাও কর্মসূচী হাতে নিব। 

 

 উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুৃযারী) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে পেঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। নিহতের স্বামী ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টায় বাড়িতে এসে দেখতে পান তার স্ত্রী খাটের উপর পড়ে রয়েছে, তার ৭ মাসের শিশু সন্তান খাটের নিছে পড়ে আছে। বড় মেয়ে সুমাইয়া বাড়িতে ছিল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাহুবলে শিক্ষিকা মিনারা আক্তারের খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জের বাহুবলে মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা মিনারা আক্তারকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যাকারী গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

 মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা সিলেট পুরাতন মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনকারীদের দাবি এঘটনায় ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মানববন্ধন শেষে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

নিহত শিক্ষক উপজেলা মহিলা জামিয়াতের সভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশনের সভাপতি আব্দুল আহাদের স্ত্রী। পশ্চিম জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা স্বামী স্ত্রী উভয়ই জামায়াতের রুকন ছিলেন।

মানববন্ধনে আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারী কলেজ, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা,ভূলকোট আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, সানশাইন মডেল হাই স্কুল, দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ,মিরপুর ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সানরাইজ হাই স্কুল, মিরপুর ইসলামি একাডেমি, করাঙ্গী ইসলামি একাডেমি এন্ড হাই স্কুল সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেে এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।

 

মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ সুলতানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাহুবল-নবীগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শাহজাহান আলী, আমেরিকাস্থ বাহুবল সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী দুলাল, আলিফ সোহান চৌধুরী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছাদিকুর রহমান, প্রভাষক আইয়ূব আলী, দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ন আহব্বায়ক আব্দুল আহাদ কাজল, ভুলকোট আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক মিজানুর রহমান, মিরপুর ইসলামি একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান মাসুম, মিরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুল হক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান অনু, মিরপুর ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান মাসুক, ছাত্রদল নেতা হেলাল মিয়া, দিলার এলাহী সাজু, জুয়েল মিয়া, নিহতের স্বামী আব্দুল আহাদসহ অনেকেই।

 

বক্তারা সবাই একই সুরে বলেন, জুলাইয়ের দাগ এখনো শুকায়নি, আমাদের শিক্ষক কবরে রেখে খুনিরা বাইরে থাকতে পারে না, দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার না করলে আবারো মহাসড়ক অবরোধ করে ডিসি অফিস থানা ঘেরাও কর্মসূচী হাতে নিব। 

 

 উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুৃযারী) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে পেঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। নিহতের স্বামী ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টায় বাড়িতে এসে দেখতে পান তার স্ত্রী খাটের উপর পড়ে রয়েছে, তার ৭ মাসের শিশু সন্তান খাটের নিছে পড়ে আছে। বড় মেয়ে সুমাইয়া বাড়িতে ছিল না।