কৃষিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া

- আপডেট সময় : ০৩:১১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জ জেলায় কৃষিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টারের পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহার।ধারণা করা হচ্ছে -কৃষকরা রোপণ যন্ত্রে অভ্যস্ত হলে এর ব্যবহার ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাবে।
২০২২ সালের বোরো মৌসুমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ একর জমিতে চাষাবাদ শুরু হয় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়।যন্ত্রের ব্যবহারে ফলনও ভালো আসে।তখন থেকে ১২নং কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের একজন কৃষি উদ্যোক্তা এবাদুর রহমান তিনি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ২৮ দিন ব্যাপী গ্রামীণ আবাসিক মেকানিক ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেন।তারপর থেকে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং কৃষি অফিসের সহায়তায় সমলয় চাষাবাদ করে আসছেন।এবং শুরুতেই তিনি ট্রে-তে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বীজতলা তৈরী করেন।
এবাদুর রহমান আরও জানান,ট্রে তে বীজতলা তৈরীর কাজে প্রথমে একটু বেগ পোহাতে হয়েছে।কারণ চারা রোপণ করতে ১ একর জমির জন্য ৮০-১০০ টা ট্রে প্রয়োজন হয়। প্রতিটা ট্রের জন্য ১২০-১৫০ গ্রাম বীজ লাগে। এবং ১০০ শতাংশ জমি হাতে রোপণ করতে গেলে ১০ জন শ্রমিকের সারা দিন লাগে।সেই জায়গায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ জমির ধানের চারা রোপণ করতে ১ঘন্টা সময় লাগে।প্রতি একর জমিতে রোপণের খরচ হয় মাত্র ২৫০০- ৩০০০ হাজার টাকা।বীজতলা থেকে সনাতন পদ্ধতিতে বীজ উত্তোলন করে রোপণ করলে পুনরুজ্জীবিত হতে সময় লাগে ৭ থেকে ১০ দিন।আর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ করলে পুনরুজ্জীবিত হতে সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘন্টা।কৃষি যান্ত্রিকীকরণ উদ্যোক্তা এবাদুর রহমান গত আমন মৌসুমে প্রায় ১৫০ একরের মতো জমি রোপণ করেন রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে এবং এই বোরো মৌসুমে হবিগঞ্জ ও মৌলভাবাজার জেলার কয়েকটি উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ একর জমিতে ধানের চারা রোপণ করে দেন।রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারে কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন বলেও জানান।এ উদ্যোক্তা দেশব্যাপী রাইস টান্সপ্লান্টার ব্যবহার বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ প্রদানেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ বিষয় কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ.কে,এম মাকসুদুল আলম জানান,রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে বীজ সাশ্রয় হয় ,সময় কম লাগে,খরচ বাচে,এবং সারিবদ্ধ ভাবে রোপণ করার ফলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয় এবং ফলনও ভালো মিলে।এতে অন্যান্য কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন।আগামীর সুখি সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মানে কৃষি প্রযুক্তি আধুনিকতায় আমাদের সকলের অংশগ্রহন আবশ্যক।