ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নিখোঁজের চার দিনেও খোঁজ মিলেনি মাদ্রাসা ছাত্র রিফাত হাসানের Logo লাখাইয়ে ঈদগাহ মাঠে বসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১৬ Logo হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট এক্সপ্রেস বাস চলাচল বন্ধ Logo এবার ঈদে পশু কুরবানি কমেছে পৌনে ১৩ লাখ Logo বাহুবলে আলী আহমদ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট Logo বাহুবলে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ১ Logo মাধবপুরে রাবার ড্যাম থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার Logo বানিয়াচংয়ে ঈদের ২য় দিন টেটা যুদ্ধে নিহত ১, আহত অর্ধশত Logo জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরাতন খোয়াই নদী, পুকুর ও জলাশয় নিয়ে শীর্ষক আলোচনা সভা Logo শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের সকলেই মুক্তিযোদ্ধা: ফারুক ই আজম

পাবনায় জামায়াতের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে!!!

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনার হেমায়েতপুরে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় স্থানীয়দের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে হেমায়েতপুরের কুমারগাড়ী এলাকার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হেমায়েতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীসহ ১০ জনের নামে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কুমারগাড়ি এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় একটি মুদির দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়। অটোরিকশার গ্যারেজও ভাঙচুর করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

স্থানীয় জামায়াত কর্মী আব্দুল্লাহ করিম অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ইয়াকুব আলী ও আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। এই নেতাদের নির্দেশে আধিপত্য বিস্তার ও নিজেদের শক্তি জানান দিতে আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলি করেছে। এসব সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও অবগত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসির ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিই। এর বেশি কিছু নয়।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, জমিজমা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুর করেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার প্রতিবেদন করা হয়েছে। ওখানে গুলির কোনো তথ্য আমরা পাইনি।…………..

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পাবনায় জামায়াতের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে!!!

আপডেট সময় : ১০:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনার হেমায়েতপুরে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় স্থানীয়দের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে হেমায়েতপুরের কুমারগাড়ী এলাকার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হেমায়েতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীসহ ১০ জনের নামে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কুমারগাড়ি এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় একটি মুদির দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়। অটোরিকশার গ্যারেজও ভাঙচুর করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

স্থানীয় জামায়াত কর্মী আব্দুল্লাহ করিম অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ইয়াকুব আলী ও আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। এই নেতাদের নির্দেশে আধিপত্য বিস্তার ও নিজেদের শক্তি জানান দিতে আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলি করেছে। এসব সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও অবগত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসির ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিই। এর বেশি কিছু নয়।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, জমিজমা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুর করেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার প্রতিবেদন করা হয়েছে। ওখানে গুলির কোনো তথ্য আমরা পাইনি।…………..