দাওয়াতে না যাওয়ায় জামাই’র বাড়িতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হামলা!

- আপডেট সময় : ১১:১৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৫১ বার পড়া হয়েছে
টুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় শ্বশুর বাড়ির দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করায় জামাইর বাড়ি গিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী জামাইর নাম পারভেজ মাতব্বর (২৭)। তার অভিযোগ, নিজ স্ত্রীর বড় ভাই সাকিল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন এ হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীদের মারধরে তিনিসহ তার মা হালিমা বেগম (৪৫) ও বোন তানজিলা ইসলাম (১৯) আহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলা দাশপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দাশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জমিতে চাষাবাদ করার সময় পাওয়ার টিলার উল্টে চাপা পড়ে নিহত হন ভুক্তভোগী পারভেজ মাতব্বরের শ্বশুর মানিক রাঢ়ী। ঘটনার দিন রবিবার নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়া মিলাদ ও খাবারের আয়োজন করা হয়। এ দোয়া মিলাদে সাকিল রাঢ়ী তার ভগ্নিপতি পারভেজকে দাওয়াত করেছিলেন। কিন্তু পূর্বের মনোমালিন্যতার কারণে দোয়া ও মিলাদে তিনি অংশ না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয় সাকিল। বিষয়টি নিয়ে সাকিল তার কাছে জবাবদিহিতা চায়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। তখন সাকিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন পারেভেজ মাতব্বরের বাড়ি এসে তার বসতঘরে হামলা চালিয়ে দরজা ভেঙে আসবাবপত্র, থালাবাটি ও একটি মটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পারভেজ মাতব্বর বলেন, স্ত্রী মীম আক্তারের সাথে মনোমালিন্য থাকায় সে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। এ কারণে অভিমান করে তিনি শ্বশুরের মিলাদ ও খাবার অনুষ্ঠানে যাননি। এ কারণে তার সুমন্দি সাকিল রাঢ়ীর নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং তাকেসহ তার মা ও বোনকে মারধর করে অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে সাকিল রাঢ়ী বলেন, আমার বোন মীম আমাদের বাড়ি থাকে। সকালে মীম বাবার দোয়া মিলাদ ও খাবার অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতে তার শ্বশুর বাড়ি গেলে আমার ভগ্নিপতি মীমকে মারধর করে এবং আটকে রাখে। সাকিলের দাবি, পারভেজ নিজেই তার বসতঘরে ভাঙচুর করে এখন আমাদের ওপর অভিযোগ তুলছে। তিনি খবর পেয়ে ওই বাড়ি গিয়ে তার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।………….