ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নিখোঁজের চার দিনেও খোঁজ মিলেনি মাদ্রাসা ছাত্র রিফাত হাসানের Logo লাখাইয়ে ঈদগাহ মাঠে বসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১৬ Logo হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট এক্সপ্রেস বাস চলাচল বন্ধ Logo এবার ঈদে পশু কুরবানি কমেছে পৌনে ১৩ লাখ Logo বাহুবলে আলী আহমদ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট Logo বাহুবলে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ১ Logo মাধবপুরে রাবার ড্যাম থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার Logo বানিয়াচংয়ে ঈদের ২য় দিন টেটা যুদ্ধে নিহত ১, আহত অর্ধশত Logo জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরাতন খোয়াই নদী, পুকুর ও জলাশয় নিয়ে শীর্ষক আলোচনা সভা Logo শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের সকলেই মুক্তিযোদ্ধা: ফারুক ই আজম

হবিগঞ্জের ৩শ’ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী হচ্ছে

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮৪৪ বার পড়া হয়েছে
বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন এ সপ্তাহের মধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন দল।

এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জারী হবে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা। এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাইব্যুনালের একটি তদন্ত দল দিনভর হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোডে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এছাড়াও তদন্ত দলের সদস্যরা সারাদিন এবং রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে তদন্ত

করেন। 

জানা যায়, নিহত মোস্তাক আহমেদের ভাই ময়না মিয়া গত ৭ নভেম্বর অভিযোগটি দিয়ে ছিলেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী গত ১৪ নভেম্বর এ অভিযোগ তদন্তের আদেশ দেন।

সূত্রটি আরও জানায়, ইতোমধ্যেই প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে। এর পরের প্রত্রিনয়া হল- অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা।

নিহত মোস্তাক আহমেদ সিলেট সদর উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের

৩শ’ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

সময় তিনি হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন একটি প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক ৩ সংসদ সদস্য, ৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ২ মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। অজ্ঞাত আসামী রাখা হয়েছে ৩০০ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন,

 সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আবু জাহির, আব্দুল মজিদ খান, সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন, হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের সাবেক এএসপি, খলিলুর রহমান, সদর মডেল থানার সাবেক ওসি অজয় চন্দ্র দেব, এমপি মোঃ আবু জাহির এর তৎকালীন দেহরক্ষী মাহবুব আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, লাখাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকবর হোসেন জিতু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সামছুল এ হক, বন্দুকদারী আওয়ামী লীগ ক্যাডার মোহাম্মাদ শাহনেওয়াজ, পুরান মূলেফী এলাকার আব্দুর রাজ্জাক রাজ্য মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মোস্তফা কামাল আজাদ দলের সাধারণ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, ফয়জুর রহমান রবিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হবিগঞ্জের ৩শ’ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন এ সপ্তাহের মধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন দল।

এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জারী হবে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা। এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাইব্যুনালের একটি তদন্ত দল দিনভর হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোডে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এছাড়াও তদন্ত দলের সদস্যরা সারাদিন এবং রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে তদন্ত

করেন। 

জানা যায়, নিহত মোস্তাক আহমেদের ভাই ময়না মিয়া গত ৭ নভেম্বর অভিযোগটি দিয়ে ছিলেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী গত ১৪ নভেম্বর এ অভিযোগ তদন্তের আদেশ দেন।

সূত্রটি আরও জানায়, ইতোমধ্যেই প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে। এর পরের প্রত্রিনয়া হল- অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা।

নিহত মোস্তাক আহমেদ সিলেট সদর উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের

৩শ’ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

সময় তিনি হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন একটি প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক ৩ সংসদ সদস্য, ৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ২ মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। অজ্ঞাত আসামী রাখা হয়েছে ৩০০ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন,

 সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আবু জাহির, আব্দুল মজিদ খান, সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন, হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের সাবেক এএসপি, খলিলুর রহমান, সদর মডেল থানার সাবেক ওসি অজয় চন্দ্র দেব, এমপি মোঃ আবু জাহির এর তৎকালীন দেহরক্ষী মাহবুব আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, লাখাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকবর হোসেন জিতু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সামছুল এ হক, বন্দুকদারী আওয়ামী লীগ ক্যাডার মোহাম্মাদ শাহনেওয়াজ, পুরান মূলেফী এলাকার আব্দুর রাজ্জাক রাজ্য মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মোস্তফা কামাল আজাদ দলের সাধারণ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, ফয়জুর রহমান রবিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব।