ভুয়া জামিননামায় ৪ আসামির জামিন আদালতে আটক আরিফের স্বীকারোক্তি

- আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে কারাগার থেকে ভুয়া জামিননামায় ৪ আসামি কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনার মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত করে হবিগঞ্জ আদালতের জিআরও’র সহযোগী হিসেবে চাকুরিরত হোসাইন মো. আরিফ
(২৫) আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় আরিফকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (২য় পৃষ্ঠায়)
ভুয়া জামিননামায় ৪ আসামির
(১ম পৃষ্ঠার পর) দায়ের হযেছে। আমল আদালত-৬ এর জিআরও এএসআই মো. মীর কাশেম বাদি হয়ে জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়- আটকের পর পুলিশ আরিফকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতে পাঠালে সে দীর্ঘ স্বীকারোক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যা যাচাই করা হচ্ছে এবং এই চক্রের সাথে কোর্টের কিছু পুলিশ সদস্যরাও জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
আইনজীবীরা জানান- জালিয়াত চক্রের হোতা আরিফই নয়, তার সাথে জিআর কোর্টের অনেকে জড়িত বলে তাদের ধারণা। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও রহস্য উন্মোচিত হবে। আরিফ এড়ালিয়া গ্রামের মন্নর আলীর ছেলে।
জানা যায়- প্রায় ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আরিফ ও তার সহযোগিরা জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নামা তৈরি করে কারাগারে পাঠিয়ে আসামিদের ছাড়িয়ে নেয়।
কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা হল, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলগঞ্জ গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার ছেলে রুয়েল মিয়া, একই উপজেলার কিরণ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কিরগাও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে সুয়েব মিয়া। জানা যায়- গত ৬
জানুয়ারি মাধবপুর থানার মামলা নং-১০, তাং-০৬/০১/২০২৫ইং জিআর ১০/২৫।
এ মামলায় উল্লেখিত ৪ জনকে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া থেকে প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১২-৬৬১৮) গ্রেফতার করা হয়। তখন তাদের কাছ থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফয়সল আদালতে বেশ কয়েকবার তাদের জামিন আবেদন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তাদেরকে জামিন দেননি। সবশেষ তিনি বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গত ২৬ জানুয়ারিও তাদের জামিন আবদেন করলে সেখানে না মঞ্জুর হয়। এদিকে হঠাৎ করে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আসামিরা জামিনে বের হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে গত (৩০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার এডভোকেট ফয়সল আদালতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নিশ্চিত হন তার আসামিরা ভূয়া জামিন নামা তৈরী করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে। পরে সেখান থেকে তারা ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ভূয়া জামিনে বেরিয়ে যাওয়া পলাতক আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।