ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে থান কাপড়ে মোড়ানো ৫৭ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo নদীকে তার মূল গতিপথে ফিরিয়ে না দিলে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব নয় : ধরা Logo জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের পরীক্ষা দিতে গিয়ে গ্রেফতার জেলা প্রশাসনের কর্মচারী! Logo শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! Logo যে অভিশাপে ৮০ বছরের বেশি টেকে না ইহুদী রাষ্ট্র! Logo বাহুবলে বিএনপির অফিস ভাংচুর ৩৭ জনের নামে মামলা Logo ‘মরো অথবা পালাও’, ইসরাইলিদের যে কোনো একটি বেছে নিতে বললো ইরান Logo বাড়ির উঠানে গাঁজার গাছ! মালিক গ্রেফতার Logo বাহুবলে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৯২ কেজি গাঁজাসহ কারবারি আটক Logo শায়েস্তাগঞ্জে রঙ মিশ্রিত মাছ বিক্রি, দুই ব্যবসায়ীর ২১ কেজি মাছ জনসম্মুখে বিনষ্ট

জামিননামা জালিয়াতি করে হবিগঞ্জ কারাগার থেকে ৪ আসামির মুক্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ২১৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি-সংযুক্ত-গ্রেপ্তারের-পর-৪-আসামী

বিজয় নিউজ ২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিননামা জালিয়াতির মাধ্যমে মাদক মামলার ৪ আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জামিনে মুক্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিমছাইপৈর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুয়েল (২৬), কিরদাকাপন গ্রামের কিরন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন আফজল (২২), শানিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ (২৩) এবং বীরগাঁও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে শোয়েব মিয়া (২৭)। 

গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আসামীরা কারাগার থেকে বের হয়ে যান।

আদালত সূত্রে জানা যায়- গত ৮ জানুয়ারি আইনজীবী ফয়সল আহমেদ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।

পরে ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিসকেস করা হয়। ২৬ জানুয়ারি বিচারক জেসমিন আরা বেগম এই আবেদন খারিজ করে দেন।

আইনজীবী ফয়সল আহমেদ জানান- তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন প্রস্তুতির জন্য আসামিদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, ৪ আসামী জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন।

 এরপর তিনি আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিষয়টি যাচাই করে দেখেন- মূলনথিতে জামিননামার কপি সংরক্ষিত নেই। এরপর কোর্ট পুলিশ অফিসের ডেসপাস রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে দেখতে পাওয়া যায় যে, কারাগারে ভুয়া জামিননামা পাঠানো হয়েছিল।

হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান জানান- আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যথানিয়মে জামিননামা কারাগারে নিয়ে আসেন এবং তাতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের স্বাক্ষর ছিল। যাচাই শেষে আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়।

 চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির শাকিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছেন। তবে কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন করেননি।

মামলার বিবরণে জানা যায়- গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলক্রসিং মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেট কার আটক করে র‌্যাব-৯, সিপিসি শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। গাড়ি তল্লাশিতে ৩৫ কেজি গাঁজা (মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা) উদ্ধার করা হয় এবং চারজনকে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জামিননামা জালিয়াতি করে হবিগঞ্জ কারাগার থেকে ৪ আসামির মুক্তি

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিননামা জালিয়াতির মাধ্যমে মাদক মামলার ৪ আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জামিনে মুক্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিমছাইপৈর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুয়েল (২৬), কিরদাকাপন গ্রামের কিরন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন আফজল (২২), শানিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ (২৩) এবং বীরগাঁও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে শোয়েব মিয়া (২৭)। 

গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আসামীরা কারাগার থেকে বের হয়ে যান।

আদালত সূত্রে জানা যায়- গত ৮ জানুয়ারি আইনজীবী ফয়সল আহমেদ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।

পরে ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিসকেস করা হয়। ২৬ জানুয়ারি বিচারক জেসমিন আরা বেগম এই আবেদন খারিজ করে দেন।

আইনজীবী ফয়সল আহমেদ জানান- তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন প্রস্তুতির জন্য আসামিদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, ৪ আসামী জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন।

 এরপর তিনি আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিষয়টি যাচাই করে দেখেন- মূলনথিতে জামিননামার কপি সংরক্ষিত নেই। এরপর কোর্ট পুলিশ অফিসের ডেসপাস রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে দেখতে পাওয়া যায় যে, কারাগারে ভুয়া জামিননামা পাঠানো হয়েছিল।

হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান জানান- আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যথানিয়মে জামিননামা কারাগারে নিয়ে আসেন এবং তাতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের স্বাক্ষর ছিল। যাচাই শেষে আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়।

 চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির শাকিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছেন। তবে কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন করেননি।

মামলার বিবরণে জানা যায়- গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলক্রসিং মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেট কার আটক করে র‌্যাব-৯, সিপিসি শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। গাড়ি তল্লাশিতে ৩৫ কেজি গাঁজা (মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা) উদ্ধার করা হয় এবং চারজনকে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।