বাহুবলে মোরগের হ্যাচারিতে মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

- আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
বাহুবল প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের বিহারীপুর গ্রামে মুরগের হ্যাচারীর ময়লা-আবর্জনা ও বিষ্টার উৎকট দুর্গন্ধে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। হ্যাচারীর পরিবেশ বিপর্যয়ে এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে মাছির উপদ্রব।
আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা ঘরের ভিতর খাওয়া দাওয়া করতে পারছেন না মাছির কারণে। অনেককে মশারী টানিয়ে খানাপিনা করতে হচ্ছে। মাছির কারণে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়ছেন বিহারীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিষ্টার দুর্গন্ধ এবং মাছির উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে হ্যাচারী কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপণায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
শতাধিক লোকের স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা যায়, বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে “কুইক চিকস লিঃ নামের মোরগের হ্যাচারী। উক্ত হ্যাচারী পরিচালনা করছে সিপি বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারী নীতিমালা লঙ্ঘন করে জনবসতি এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে এ হ্যাচারীটি। এর চারপাশে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অতীতে এলাকার ভুক্তভোগিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সহ বিধি নিষেধ আরোপ করলেও সবই উপেক্ষা করছে হ্যাচারী কর্তৃপক্ষ।
ইদানীং এ হ্যাচারীর ময়লা-আবর্জনায় পরিবেশ দূষিত হয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মাছির উপদ্রব। বসত-বাড়িতে অবস্থানরত সব শ্রেণীর মানুষ অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে শতাধিক লোকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গিয়াস উদ্দীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিহারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাহেনা আক্তার জানান, মাছির উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারছিনা। বর্তমানে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে গেছে।
হ্যাচারীর ম্যানেজার মোঃ আব্দুল হককে একাধিবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।